নয়াদিল্লির রাজেন্দ্রনগরে বড় হয়ে ওঠা। স্কুল-কলেজের পড়াশোনাও রাজধানীতে। স্বপ্ন বু্নেছিলেন অভিনেতা হওয়ার। সেই কারণেই দিল্লি থেকে সোজা চলে যান মুম্বাই।
বর্তমানে যিনি বলিউডের ‘বাদশাহ’, ‘কিং খান’ ইত্যাদি নামে পরিচিত, সেই শাহরুখ খানই নাকি নিজের হাতে খেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না!
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ খান জানিয়েছেন, এখনও নিজের হাতে খেতে স্বচ্ছন্দ নন তিনি। স্বস্তিও পান না যেন। এমন হওয়ার কারণও জানিয়েছেন অভিনেতা।
শাহরুখ দাবি করেন, ‘‘আমি যখন হাত দিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করি, তখন আমাকে খুব বোকা বোকা দেখতে লাগে।’’ ছোটবেলা থেকে কখনও নিজের হাতে খাওয়ার অভ্যাসই করেননি অভিনেতা।
নিজের হাতে খাওয়ার অভ্যাস তৈরি না হওয়ার জন্য শাহরুখ তার মাকে দায়ী করেছেন। এই প্রসঙ্গে শৈশবের স্মৃতিও হাতড়াতে দেখা গিয়েছে অভিনেতাকে।
শাহরুখ জানান, তার বাবা তাজ মোহাম্মদ খান দেশভাগের আগে পেশোয়ার থেকে ভারতে আসেন। তার মা লতিফ ফতিমা খান ছিলেন হায়দরাবাদের বাসিন্দা। শাহরুখ জানান, তার বাবা-মা দু’জনেই ভিন্ন ঘরানার রান্না করতে ভালবাসতেন।
শাহরুখ বলেন, ‘‘আমার ছোটবেলা থেকে যেমন মোগলাই খাবার খেয়েছি, ঠিক তেমনই দক্ষিণ ভারতের প্রায় সমস্ত খাবার আমার চেখে দেখা। আমার বাবা শুধু খেতেই ভালবাসতেন না, রান্না করে খাওয়াতেও ভালবাসতেন।’’
শাহরুখ জানান, তার বাবার হাতে তৈরি রান এবং তার সঙ্গে মায়ের হাতে বানানো মাটন বিরিয়ানি এবং খট্টি ডাল খেতে খুবই পছন্দ করতেন অভিনেতা।
শাহরুখের যখন ১৫ বছর বয়স, তখন তার বাবা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার পর থেকে মায়ের কাছে বড় হয়ে ওঠেন শাহরুখ এবং তার বোন।
ছোটবেলা থেকে শাহরুখকে তার মা-ই খাইয়ে দিয়েছেন। এমনকি শাহরুখের যখন ২৫ বছর বয়স, তখনও মায়ের হাতেই খেতেন অভিনেতা।
১৯৯০ সালে শাহরুখের মা মারা যান। তার পর শাহরুখই একা হাতে নিজের ক্যারিয়ার সামলে বোনের পড়াশোনা সামলেছেন। কিন্তু মায়ের কাছে খেয়ে অভ্যাস তৈরি করে ফেলেছিলেন বলে এখন আর নিজের হাতে খেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না অভিনেতা।
শাহরুখ বলেন, ‘‘ছোটবেলায় আমাকে বিরিয়ানি এবং খট্টি ডালের সঙ্গে রান মাখিয়ে খাওয়াতেন বাবা-মা। কিন্তু আমি আমার ছেলেমেয়ের সঙ্গে এমন করি না।’’
তবে শাহরুখ যে তার সন্তানদের জন্য রান্নাঘরেও গিয়েছেন তা জানিয়েছেন অভিনেতা নিজেই। শাহরুখ বলেন, ‘‘আমি ডিম সিদ্ধ করতে পারি। চা বানাতে পারি। ভাল ফুলকাও তৈরি করতে পারি।’
শাহরুখ খান বলেন, ‘‘আমি বেক করতে পারি। আরিয়ান যখন ছোট ছিল তখন আমি ওর জন্য পাস্তাও বানিয়েছি। শুধু তাই নয়, আরিয়ানের সঙ্গে ব্যাটম্যান ছাঁচের কুকিজও বানিয়েছি আমি।’