অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে ইসরায়েলের উদ্দেশে রওনা হওয়া একটি মালবাহী কার্গো জাহাজ যাত্রাবিরতি দেওয়ার জন্য স্পেনের বন্দরে নোঙ্গর করার অনুমতি চাইলেও তা দেয়নি দেশটির সরকার। বৃহস্পতিবার স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসে ম্যানুয়েল আলবারেস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা যখনই নিশ্চিত হলাম যে ইসরায়েলগামী জাহাজটিতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-গোলাবারুদ রয়েছে, তখনই সেটিকে বন্দরে ভেড়ার জন্য অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। স্পেন-ইসরায়েলের দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্কের ইতিহাসে প্রথমবার এই ঘটনা ঘটল।’
‘স্পেন বিশ্বাস করে, মধ্যপ্রাচ্যের আর অস্ত্রের কোনো প্রয়োজন, সেখানে এখন প্রয়োজন শান্তির। তাই সম্প্রতি যে পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি, ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে। ইসরায়েলগামী কোনো অস্ত্রবাহী জাহাজ আর কোনোদিন স্পেনের কোনো বন্দরে নোঙ্গর করতে পারবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে এ ইস্যুতে বিস্তারিত আর কিছু বলেননি স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে ফ্রান্সের দৈনিক এল প্যারিস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ডেনমার্কের পতাকাবাহী সেই কার্গো জাহাজটি ভারতের তামিলনাড়ুর রাজ্যের চেন্নাই বন্দর থেকে অস্ত্র-গোলাবরুদের চালান নিয়ে ইসরায়েলের হাইফা বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। যাত্রাপথে বিরতি দেওয়ার জন্য স্পেনের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় বন্দর কার্তেজেনায় নোঙ্গর করার অনুমতি চেয়েছিল জাহাজটি। জাহাজটিতে ২৭ টন অস্ত্র ও গোলাবারুদ ছিল।
প্রসঙ্গত, ইউরোপের যে কয়েকটি রাষ্ট্র গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের বিরুদ্ধে সবচেয়ে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে, তাদের মধ্যে স্পেন অন্যতম। সম্প্রতি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে স্পেন।
এছাড়া গত ৭ অক্টোবর গাজায় অভিযান শুরুর পর থেকে ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানিও স্থগিত করেছে স্পেনের সরকার।