উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের অনিয়ম নিয়ে সমকালের প্রধান শিরোনাম ‘সুষ্ঠু ভোটের প্রধান চ্যালেঞ্জ মন্ত্রী-এমপির স্বজন’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলার ভোটেও আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কেউ নেই মাঠে। তবু তৃণমূল আওয়ামী লীগে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন মন্ত্রী এমপির আশীর্বাদপুষ্ট প্রার্থীরা।
প্রথম ধাপের অধিকাংশ উপজেলায় স্থানীয় এমপির ঘনিষ্ঠজন প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীকে প্রার্থী না দিলেও তারাই নিজেদের দলের প্রার্থী হিসেবে প্রচার করছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে নাটোরের সিংড়ায় দেলোয়ার হোসেন নামে একজনকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ পলকের শ্যালক উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল হাবিবের বিরুদ্ধে।
এই অভিযোগে প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে নির্বাচন কমিশন। এদিকে পাল্টাপাল্টি প্রার্থী হওয়া নিয়ে ক্ষমতাশীলদের ঘরোয়া বিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। অনেক স্থানে পরিস্থিতি সহিংসতায় রূপ নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘উপজেলা নির্বাচন বর্জন সব বিরোধী দলের’।
এতে বলা হচ্ছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর আসন্ন উপজেলা নির্বাচনেও থাকছে না বিএনপি। নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশের অনুপস্থিতি এবং নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে থাকাসহ পাঁচটি সুনির্দিষ্ট কারণ বিশ্লেষণ করে দলটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, যা মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানানো হয়।
উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্তের পাশাপাশি দলের কেউ প্রার্থী হলে তার বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে বিএনপি। ইতোমধ্যে দলের যেসব প্রার্থী প্রথম দফার নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম তুলেছেন, তাদের তা প্রত্যাহারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া জানা গেছে, জামায়াতে ইসলামীসহ বিএনপি জোটের অন্য শরিকরাও উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।