হাজারো পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়েছে উঠেছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্ট, গঙ্গামতি, ঝাউবাগান, লেম্বুর বনসহ সব পর্যটন স্পট। পর্যটকদের নিরাপত্তায় বিভিন্ন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, শহরের কোলাহল থেকে একটু স্বস্থি পেতে এবং প্রাকৃতিক নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগে বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই সৈকতে এসব পর্যটকের আগমন ঘটে। সৈকতে আসা পর্যটকরা সমুদ্রের বড় বড় ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালীতে মেতে ওঠেন। কেউ ছবি তুলে, কেউবা মোটরবাইক কিংবা ওয়াটার বাইকে ঘুরে সময় কাটাচ্ছেন। এদিকে কুয়াকাটার ৮০ শতাংশ হোটেল-মোটেল বুকিং আছে বলে জানা গেছে। প্রাণচাঞ্চল্যতা ফিরেছে পর্যটক সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো।
মিরপুর থেকে আসা পর্যটক ফরিদ মিয়া জানান, সরকারি ৩ দিনের ছুটি রয়েছে। তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে কুয়াকাটায় বেড়াতে এসেছি। সঙ্গে বৃদ্ধ মা-বাবাও রয়েছেন। তারা শেষ বয়সে কুয়াকাটায় এসে বেশ আনন্দ পাচ্ছেন।
গঙ্গামতি আসা পর্যটক মানিক মিয়া জানান, গতকাল বিকালে আমরা নারায়নগঞ্জ থেকে এসেছি। এখন সূর্য উদয় দেখতে গঙ্গামতি এসেছি। এখানের পরিবেশ আমাদের মুগ্ধ করেছে।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অফ কুয়াকাটার (টোয়াক) সাধারণ সম্পাদক কেএম জহির জানান, গতকাল এবং আজ দুদিনই পর্যটকদের বেশ চাপ রয়েছে। আমরা পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় বিভিন্ন পর্যটন স্পটে পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।