সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ব্যবহার করত এমন একটি ব্যক্তিগত বিমান সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অবতরণ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
রিয়াদ ও তেল আবিবের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ নিয়ে আলোচনা শুরু হতে পারে বলে যখন পশ্চিমা গণমাধ্যমে জল্পনা চলছে তখন এ খবর প্রকাশিত হলো।
ইসরাইলি সম্প্রচার সংস্থা মাকান এ খবর দিয়ে বলেছে, গতকাল (শনিবার) বিমানটি তেল আবিবের বেন গুরিয়ান বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে। বিমানটি গত কয়েক মাস ধরে মোসাদ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ইসরাইলের কথিত অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনী শিন বেত কর্মকর্তাদের বহন করেছে।
এবার বিমানটি সৌদি আরবের সঙ্গে সম্ভাব্য সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের আলোচনা করতে শীর্ষস্থানীয় ইহুদিবাদী কর্মকর্তাদের বহন করে রিয়াদে নিয়ে গেছে বলে মাকানের খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়ার সম্ভাব্য এই প্রকল্পে মধ্যস্থতা করছে মার্কিন প্রশাসন।
এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান ও মরক্কো ২০২০ সালে মার্কিন মধ্যস্থায় ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়। ফিলিস্তিনি জনগণ ওই চার আরব দেশের এ আচরণকে তাদের ‘পিঠে ছুরি মারার’ শামিল বলে নিন্দা জানায়।
চলতি মাসের গোড়ার দিকে মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছিল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন খুব শিগগিরই ইসরাইলের পক্ষ থেকে একটি সম্ভাব্য ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার বিনিময়ে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়ার প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে যেতে চান।
সৌদি সরকার এমন সময় মার্কিন পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়েছে যখন মানবতার শত্রু ইসরাইল গত ছয় মাস ধরে গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ভয়াবহ গণহত্যা চালিয়ে এ পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু।