অলিভ রিডলি কচ্ছপ পৃথিবীর বিপন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক কচ্ছপ। শীত মৌসুমে ডিম পাড়ার জন্য কক্সবাজার এলাকার সমুদ্র উপকূলে প্রচুর অলিভ রিডলি কচ্ছপ আসে। কিন্তু প্রতিকূল পরিবেশ ও সমুদ্র সৈকতে মানুষের চলাচলের কারণে অনেক কচ্ছপ ডিম না দিয়েই সাগরে ফিরে যায়। তাছাড়া স্থানীয় কিছু চোর কচ্ছপের ডিমগুলো চুরি করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে কচ্ছপের বিপন্ন এই জাতকে আরও নাজুক করে তোলে।
এই বিপন্ন কচ্ছপ সংরক্ষণের লক্ষ্যে বেসরকারি সংস্থা কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (কোডেক) ‘প্রকৃতি ও জীবন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় একটি উদ্যোগ নিয়েছে এবং কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হাজমপাড়ায় তিনটি হ্যাচারি স্থাপন করেছে। হ্যাচারির কর্মীরা গত তিন মাসে ওই এলাকার ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত থেকে প্রায় ১০ হাজার ৮৯৫টি ডিম সংগ্রহ করে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে বাচ্চা ফোটার জন্য সংরক্ষণ করেন।
আরও পড়ুন : রমজানে যেসব আমলের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করবেন
বঙ্গোপসাগরের হাজমপাড়া এলাকায় অলিভ রিডলি কচ্ছপের মোট ১১৩টি হ্যাচ অবমুক্ত করা হয়েছে। অবমুক্তির সময় কোডেকের উপ-নির্বাহী পরিচালক কামাল সেনগুপ্ত, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের পরিচালক প্রফেসর আক্তার হোসেন, প্রফেসর ড. বায়েজিদ খান, সাংবাদিক ও পরিবেশকর্মী মিজানুর রহমান ইউসুফ, শীতল কুমার নাথ, প্রকৃতি ও জীবন বিভাগের পরিচালক ড. প্রকল্প ও সহকারী পরিচালক নারায়ণ দাস উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার প্রকল্প পরিচালক শীতল কান্তি নাথ বলেন, তিন বছর আগে একটি হ্যাচারি দিয়ে প্রকল্পটি শুরু হয়। টেকনাফে ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত জুড়ে এখন আমাদের তিনটি হ্যাচারি রয়েছে।
আরও পড়ুন : সাদ্দামের পতনের পর ইরাকে বিপর্যয় নেমে এলো কেন?
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) পর্যন্ত আমাদের তিনটি হ্যাচারি থেকে আমরা সাগরে অলিভ রিডলি কচ্ছপের ৫৪৩টি প্রস্ফুটিত বাচ্চা অবমুক্ত করেছি এবং আমরা যে ১০ হাজার ৮৯৫টি ডিম সংগ্রহ করেছি তা থেকে কমপক্ষে ৫ হাজার বাচ্চা সমুদ্রে ছাড়ার আশা করছি।