মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ad
ই-সিগারেটের উৎপাদন-বিপণন বন্ধে সরকারকে নোটিশ
ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬:৩০ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশে ই-সিগারেটের উৎপাদন, আমদানি, বিপণন, বিক্রয়, বিজ্ঞাপন ও এর ব্যবহার বন্ধে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

সোমবার মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির এ নোটিশ পাঠান।

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ছয়জনকে এ আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, সাধারণ সিগারেটের বিকল্প হিসেবে ইলেকট্রনিক সিগারেট বা ই-সিগারেট আজকাল তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ফাইবার বা প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি এ ব্যাটারিচালিত যন্ত্রের ভেতর একটি প্রকোষ্ঠ থাকে। তার মধ্যে ভরা থাকে বিশেষ ধরনের তরল মিশ্রণ। যন্ত্রটি গরম হয়ে ওই তরলের বাষ্পীভবন ঘটায় এবং ব্যবহারকারী সেই বাষ্প টেনে নেন ফুসফুসে, যা ধূমপানের অনুভূতি দেয়। এ পদ্ধতিকে বলে ‘ভেপিং’।

আমেরিকান স্ট্রোক অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণা জানাচ্ছে, ই-সিগারেটে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে ৭১ শতাংশ পর্যন্ত। কণ্ঠনালি ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে যথাক্রমে ৫৯ ও ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। এর ফ্লেভারিং এজেন্টের কারণে শ্বাসতন্ত্র, লিভার, কিডনির দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি বাড়ে। শুধু তা-ই নয়, ই-সিগারেটের নিকোটিন গর্ভজাত শিশু মেধা বিকাশ ও গর্ভবতী মায়েদের জন্য ভয়ানক বিপজ্জনক। সিগারেটের ধোঁয়া এবং যন্ত্রে রক্ষিত লিকুইড শিশুদের জন্য হয়ে উঠতে পারে অত্যন্ত ভয়ংকর। এটি ব্যবহারকারী তথা অন্যদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

বাংলাদেশে ই-সিগারেট বন্ধে এখনো পর্যন্ত কোনো আইন চূড়ান্ত হয়নি।

গত ২০২১ সালে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য এক চিঠিতে ই-সিগারেট বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে ই-সিগারেট বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রচলিত ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ সংশোধন করে ই-সিগারেট বন্ধের জন্য একটি প্রস্তাবিত আইন প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত উক্ত আইনটি আলোর মুখ দেখেনি।

এ বিষয়টি উল্লেখ করে ই-সিগারেটের বাজারজাত, আমদানি, রপ্তানি, বাণিজ্যিকীকরণ, বিজ্ঞাপন ও ব্যবহার বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নোটিশটি পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক, ইউটিউব, বিভিন্ন ওয়েবসাইট, লিংকইন, টুইটার এবং অনলাইন কোম্পানি দারাজ, ইবে, ই-শপসহ সব মাধ্যমে ই-সিগারেটের বাণিজ্যিকীকরণ বিজ্ঞাপন বন্ধ করার জন্য বলা হয়েছে।

নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে জনস্বার্থে মামলা দায়ের করে ই-সিগারেট বন্ধের নির্দেশনা চাওয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।


বিষয়: সরকার